চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ভোর রাতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগরের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে একই অভিযোগে তার চাচাতো ভাই মুর্শেদ আলমকেও পুলিশ আটক করে।
তাহিরপুর থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সংসার হাওরের জেটি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে জিম্মি করা হয়। এ সময় দুটি স্পিডবোডযোগে আসা ১৪ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পাওয়ায় সেখানে রাতভর ব্যবসায়ীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন ও সাদা কাগজে তাদের স্বাক্ষর আদায় করা হয়।
এ ঘটনার পর তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে অপহরণকারী চক্র ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ভোররাতে জিম্মিদশা থেকে ছেড়ে দেয়। এরপর তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদারের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল তাহিরপুরের লাউড়েরগড় সাহিদাবাদ থেকে মোর্শেদকে আটক করে।
এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার হাসননগর এলাকার মৃত রাজা মিয়ার পুত্র ওলিউর রহমান বাদী হয়ে মোর্শেদ ও তার অপর তিন ভাইসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদকে আটক করা হয়।
বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সেলিম আহমদের ভাই নিজাম উদ্দিন জানান, তার ভাই সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ ঘটনায় সেলিম কোনোভাবেই জড়িত নন। ঘটনার কয়েকদিন পর হঠাৎ তাকে আটক করার ঘটনা সাজানো।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করছে তাদের বিচার আল্লাহ করবেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ সেলিমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করেছে। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।