বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরকে সহয়তা দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন। ‘পুনরুত্থান: বন্যার্তদের পুনর্বাসনে কিন’ এই কর্মসূচির আওতায় বন্যাকবলিত পরিবারের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এর জন্য ঢেউটিন, নৌকা, মাছ ধরার জাল ও প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
শানিবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পুনরুত্থান: বন্যার্তদের পুনর্বাসনে কিন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৯ই আগস্ট সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে বন্যাকবলিত পরিবারের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এর জন্য ঢেউটিন, নৌকা, মাছ ধরার জাল ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়।
ইতোমধ্যে কিন সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার অন্তর্গত উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের (কান্দাহাটি, কান্দা পাড়া, তরং, শিবরামপুর, কান্দা পাড়া ও রতনশ্রীপুর) ৪০টি পরিবারের পুনর্বাসন, ২১ টি পরিবারের কর্মসংস্থান ও ১ জনের দোকানের ব্যাবস্থা করে দেয়। যেখানে বন্যার্তদের মাঝে সর্বমোট ১৫ টি নৌকা, ১৭ টি জাল, ৭৫ কেজি আলকাতরা, ৩০ বান (২৭০টি) টিন ও ৩০ টি গৃহপালিত মোরগ-মুরগি বিতরণ করা হয়। পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান কার্যক্রমের প্রতি প্যাকেজ (১টি নৌকা, ১ কেজি জাল, ৫ কেজি আলকাতরা, ১টি বৈঠা) হিসেবে বন্যাকবলিত ১৫টি জেলে পরিবারের কর্মসংস্থান এবং ৫টি পরিবারের গৃহিণীদের গৃহপালিত ১টি মোরগ ও ৫টি মুরগি দেওয়া হয়।
এছাড়া তাহিরপুর উপজেলার ডাকঘর শ্রীপুরে অবস্থিত জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৩২৮ জন (অষ্টম- ১১১ জন নবম- ১০৬ জন ও দশম- ১১১ জন) শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং ৩টি বন্যা কবলিত পরিবারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের গাইড বই বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘আত্মার কাছে দায়বদ্ধতায় হাতে রাখি হাত’ এই মূলমন্ত্রকে উপজীব্য করে ২০০৩ সালের ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একগুচ্ছ তরুণ তরুণীর হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ এর। শিক্ষা, রক্তদান কর্মসূচি, সামাজিক সচেতনতা, চ্যারিটি এন্ড এইড ও শীতবস্ত্র বিতরণ এই পাঁচটি মূল শাখা নিয়েই কাজ করে চলেছে ‘কিন’।