মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ২৩৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ জন।
রোববার (৭ আগস্ট) স্থানীয় এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল যাইমি। তিনি বলেন, ফেরত পাঠানো অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ১ হাজার ৩৩৪ জন বাংলাদেশি।
এছাড়াও মিয়ানমারের ২ হাজার ২০০ জন, ভিয়েতনামের ১ হাজার ৫০০ জন, থাইল্যান্ডের ১ হাজার দুইশ’র বেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ১৫ হাজার ৫৩৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে খুব শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক রয়েছে তারা। ফেরত পাঠাতে নথিপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
খাইরুল যাইমি জানান, কোনো বিদেশি নাগরিক যদি মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাদের সঙ্গে অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। অন্যথায় তাদের অভিবাসন নীতিমালা ১৯৬৩ এর ৩৯(বি) ধারার অধীনে আটক করা হবে।
এ ছাড়া ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যদি কোনো বিদেশি নাগরিক অতিরিক্ত সময় মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে অভিবাসন নীতিমালা অনুযায়ী সেটাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৩৯(বি) অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ৩৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রযোজ্য।