জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এই হার ওয়ানডে সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের আছে জিম্বাবুয়েকে টানা ১৯ ওয়ানডেতে হারানোর আত্মবিশ্বাস। টানা জয়ের এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ (শুক্রবার) হারারেতে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামছে সফরকারীরা। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।
টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের সাফল্য ধারাবাহিক না হলেও ওয়ানডে পেলেই জ্বলে উঠে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি হারের পর ওয়ানডে সিরিজ খেলেতে নেমে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সেই তুলনায় জিম্বাবুয়ে শক্তিমত্তায় বেশ পিছিয়ে। তবুও কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৩ সালের পর কোনও সিরিজে হারেনি বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নির্দিষ্ট কোনও দলের বিপক্ষে এমন ধারাবাহিকতা লাল-সবুজ জার্সিধারীদের আর নেই। আজ জিততে পারলে সেই সংখ্যা ২০ দাঁড়াবে। মোট পরিসংখ্যানেও এগিয়ে বাংলাদেশ।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৭৮টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ৫০টি জিতেছে বাংলাদেশে, ২৮টি জিম্বাবুয়ে।
পরিসংখ্যানের পাশাপাশি আরও একটি সংযোজন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ছিলেন না। তারা ফিরেছেন ওয়ানডেতে। ফলে শক্তি কিছুটা হলেও বেড়েছে বাংলাদেশ দলে।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষেও শক্তিশালী দল গঠন করেছে জিম্বাবুয়ে। যদিও সফরকারীদের জন্য সুখবর। জিম্বাবুয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস ও ক্রেগ আরভিন নেই স্কোয়াডে। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকায় বেশ সুবিধাই হবে বাংলাদেশ দলের! উইলিয়ামস এই সিরিজের জন্য ছুটি চেয়েছেন। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে নেই আরভিন। নিয়মিত অধিনায়ক আরভিন না থাকায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন রেগিস চাকাবা।
ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তামিম। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘যদিও এটা ভিন্ন ফরম্যাট, ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, ওয়ানডে দল ভালো করছে। র্যাঙ্কিংয়ে আমরা জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু এটা মাঠের ক্রিকেটে কোনও প্রভাব রাখতে পারে না। যে দল ভালো ক্রিকেট খেলে, তারাই ম্যাচ জেতে। আপনি যদি ওদের মাটিতে হারাতে চান, তাহলে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। আপনার সব কাজ ভালো করতে হবে। আমরা যদি নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করি, তাহলে ভালো কিছু হবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের একাদশে স্পিনারদের আধিক্যই বেশি দেখা যেতে পারে। সেটা হলে তিন স্পিনারের সঙ্গে দুই পেসার মিলিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজানো হতে পারে। ওয়ানডেতে ফেরার অপেক্ষা আরও বাড়তে পারে এনামুল হকের। তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, আফিফদের দিয়েই টপ অর্ডার-মিডল অর্ডার সাজানোর সম্ভাবনা বেশি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদের সঙ্গে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে দেখা যেতে পারে। দুই পেসার হিসেবে শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের থাকার সম্ভাবনা বেশি।