আয় বেড়েছে আওয়ামী লীগের

গেল বছরে আওয়ামী লীগের আয় বেশি হয়েছে,ব্যয় কমেছে । ক্ষমতাসীনদের গেল বছরে আয় ছিল ২১ কোটি টাকা আর ব্যয় ছিল ৬ কোটি টাকা।

রোববার (৩১ জুলাই) সকালে নির্বাচন কমিশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান।

আয়-ব্যয়ের হিসাবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আওয়ামী লীগের আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা এবং ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। আয়ের বড় খাত ছিল- মনোনয়নপত্র ও প্রাথমিক সদস্যফরম বাবদ ।

২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখের বেশি টাকা। এ সময়ের মধ্যে ব্যয় কমেছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর দলটির ব্যাংকে জমা রয়েছে ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬ টাকা। ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা, যা ২০১৯ সালের আয়ের চেয়ে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭টা কম। ২০১৯ সালে দলটি আয় করেছিল ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।

২০২০ সালে আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা, যা ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যয়ের চেয়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা বেশি। ২০১৯ সালে দলটির ব্যয় হয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা।

জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর জুলাইয়ের ৩১ তারিখের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ‘অডিট রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হয়। যা রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পর পর তিন বছর কমিশনে আয় ব্যয়ের প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।