যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলাপকালে এমন অভিযোগ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ওয়াশিংটনের তরফে রাশিয়া থেকে খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল বাস্তবে সেটি মেনে চলা হচ্ছে না।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলাপকালে সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ সব লক্ষ্য অর্জন করবে। আর ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহ কেবল এই সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ায় আটক দুই আমেরিকানকে মুক্তি দেওয়ার মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণের জন্য চাপ দিতে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বন্দি মুক্তির পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যু নিয়েও কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি রাশিয়ার কাছে স্পষ্ট করেছেন যে, বাড়তি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের সম্ভাব্য সংযুক্তি কখনও মেনে নেওয়া হবে না।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেবে না। রাশিয়া তার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে এর জন্য তাদের উল্লেখযোগ্য মূল্য দিতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখবে। দেশটির আত্মরক্ষার প্রতি সমর্থন দেবে এবং আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মস্কোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।