রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংকটে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মস্কো। তাতে অনেকটা চাপে পড়েছে দেশগুলো। এ পরিস্থিতি আসন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় জার্মানির হ্যানোভার শহরের আবাসিক ভবনগুলোয় গরম পানির ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে ঘর গরম রাখতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমিয়ে আনা হয়েছে।
গত সোমবার নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আবাসিক ভবন, সুইমিং পুল, স্পোর্টস হল এবং জিমে গরম পানির ব্যবহার বন্ধ করে দেবে। পাবলিক ফোয়ারা বন্ধ করে দেওয়া এবং শহরের উঁচু ভবনগুলোতে রাতে আলোকিত বন্ধ করাও এ তালিকায় রয়েছে।
মেয়র বেলিট ওনে এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যুতের খরচ ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনা। এটি আসন্ন গ্যাসের ঘাটতির প্রতিক্রিয়া, যা পৌরসভার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে হ্যানোভারের মতো একটি বড় শহরের জন্য’।
নতুন নিয়মে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে হাত ধুতে হবে। বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে ঠাণ্ডা তাপমাত্রার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নতুন নিয়মে, ডে-কেয়ার সেন্টারসহ আবাসিক ভবনের কক্ষে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। স্পোর্টস হল ও জিমে ১৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা রাখা যাবে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, ভোক্তাদের সামনে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। যেনও আসন্ন দিনগুলোয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়ে না যায়।
রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের প্রবাহ কমিয়ে মাত্র ২০ শতাংশ করার পরই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুতের খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: স্কাই নিউজ।