দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে বেহাল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক। গত মাসের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানি সড়ক থেকে নেমে যাওয়ার পর থেকে ছোট-বড় গর্তে বেহাল ৫ উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন এ সড়কটি। যত সময় যাচ্ছে ছোট গর্ত বড় ও বড় গর্ত পুকুরের সমান হচ্ছে। গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত এ সড়কে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। গর্তে গাড়ি আটকা পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের দু’পাশ জুড়ে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে সাধারণ মানুষের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ সড়কটি।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী নামক স্থানে ভাঙাচোরা সড়কে যানজটের খবর পেয়ে সেখানে যান গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা। সেখানে গিয়ে তারা দু’পাশের দীর্ঘ যানজট নিরসনে কাজ করেন। এসময় সড়কের পরিস্থিতি ও যানজটের অবস্থা দেখে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম ছুড়ে দেন নিসচার নেতৃবৃন্দরা।
এসময় বক্তারা বলেন- ‘সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের অবস্থা একেবারে বেহাল। প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যানজটের কবলে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে এ সড়কের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। অতি দ্রুত লাখ লাখ মানুষের কথা বিবেচনা করে এ সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরদাবি জানান।’
বক্তারা বলেন- ‘আগামী ৩ দিন অর্থাৎ ৭২ ঘন্টার ভিতরে যদি সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস বিন রিয়াছত, সহসভাপতি কামাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম, নির্বাহী সদস্য আব্দুল আজাদ চৌধুরী, নিজাম আহমদ, এহসান আহমদ প্রমুখ।