সিলেট নগরীর পাঠানটুলায় ‘অবৈধ’ গরুর হাটে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নগরীর পাঠানটুলা পয়েন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের ইটপাটকেলে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে মদিনা মার্কেট-আম্বরখানা সড়কের যান চলাচল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, শুক্রবার থেকেই নগরীর পাঠানটুলা পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় ইজারা না নিয়েই ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা কোরবানির পশুর হাঁট পরিচালনা করছিল। শনিবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় এক মুরব্বি কোরবানির পশু কিনতে আসলে রশিদের নির্ধারিত টাকা নিয়েই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এসময় ওই মুরব্বির পক্ষ হয়ে মাঠে নামে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। বাঁধে সংঘর্ষ। দীর্ঘ সময় চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া। এতে আতংকিত হয়ে স্থানীয় লোকজন দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। একইসাথে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষের ছোঁড়া ইটপাটকেলে ৩/৪ জন আহত হন।
খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে জড়ানো যুবকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে রাত সোয়া দশটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেব, কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, গরুর হাট বসানো কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে একপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।