তাহিরপুর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে দিনে ১২-১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। প্রতিদিন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে ১৫-২০ বারের বেশি। আর এমন মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কবলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাহিরপুর উপজেলাবাসীর জীবন।
বিঘ্নিত হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখা। ব্যহত হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অফিসের নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ। অনেকের বাসা-বাড়িতেও নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র। তাছাড়া রাতের বেলা বিদ্যুতের কয়েক দফা আসা-যাওয়াতে কষ্টের মাত্রা পৌছেছে অসহনীয় পর্যায়ে।
জানা গেছে, তাহিরপুরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৪৩ হাজার। এর বিপরীতে চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন পিক-আওয়ারে ৭-৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ২-৩ মেগাওয়াট।
দায়িত্বশীলরা বলছেন, গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের কারণে এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে। তবে সমাধান কখন, তা জানা নেই কারো।
উপজেলার একটি সরকারি অফিসের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- ‘ভাই, বিদ্যুতের কথা কি বলব! আসে-যায় অবস্থা। দিনের বেশির ভাগ সময় আইপিএস, জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে ।’
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির তাহিরপুর উপজেলার এলাকা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ বলেন, তাহিরপুরে বৈদ্যুতিক লাইনে কোনো ত্রুটি নেই। তবে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুত সরবরাহ কম হচ্ছে। যে কারণে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। সারাদেশেই এমন হচ্ছে।
তাহিরপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএম ইকরাম হোসেন জনি জানান, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে এটি সত্য। মূলত গ্যাস ও ডিজেল সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে গেছে। যেখানে প্রতিদিন ৭-৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন সেখানে আমরা পাচ্ছি অর্ধেকেরও কম। এই সমস্যার সমাধান কখন হবে বলতে পারছি না।’