বন্যার কারণে আসন্ন ঈদ-উল আযহায় বেশির ভাগ মানুষ কোরবানি নিয়ে আগ্রহ নেই বললেই চলে। তারপরও বিভিন্ন এলাকায়, প্রধান সড়কের পাশে বিক্ষিপ্তভাবে গরু ব্যবসায়ীরা গরুর মৌসুমি হাট বসিয়েছেন। যার ফলে কুলাউড়ার গরু ও ছাগলের স্থায়ী হাটগুলোতে ধস নেমে এসেছে। নেই ক্রেতা বিক্রেতা। উপজেলায় সবচেয়ে বড় গরুর হাট খ্যাত ব্রাহ্মণবাজারের ইজারাদার মাইকিং করে রশিদে বিশাল ছাড় দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা আনার চেষ্টা করছেন। স্থায়ী গরুর হাটের ইজারাদার কোরবানি ঈদের অপেক্ষা থাকেন, ভালো বেচাকেনার জন্য। এবার তার উল্টো চিত্র। এমনি চলতে থাকলে ইজারামূল্য আদায় করা কঠিন হবে।
কুলাউড়া উপজেলায় সবচেয়ে বড় গরুর হাটগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণবাজার, রবিরবাজার, নছিরগঞ্জ ও কুলাউড়া পৌরসভার গরুর হাট উল্লেখযোগ্য। এসব গরুর হাটে এবার ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি কিংবা গরু কেনা বেচায় বেশ ধস নেমেছে। ফলে হতাশ ব্যবসায়ীরা। বিক্ষিপ্তভাবে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ১০-২০টি গরু নিয়ে বসেছে কোরবানি পশুর হাট। ব্রাহ্মণবাজার থেকে ভাটেরা ইউনিয়ন পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় নবীনগর, শ্রীপুর, সরকারিপার, রাজাপুর গেইট, মহলাল, ভাটেরা এলাকায় ৬টি ভাসমান গুরু হাট বসে। এভাবে বিক্ষিপ্তভাবে গুরুর হাট বসায় ক্রেতারাও বাজারে না গিয়ে কম দামে এসব স্থান থেকে গুরু কেনার জন্য ছুটছেন। শুধু তাই নয় এসব স্থান থেকে গরু কিনলে ট্যাক্স (রশিদ) দিতে হয় না। এই অনৈতিক সুবিধা নিতে অনেকে অস্থায়ী বাজারমুখী।
ব্রাহ্মণবাজারে ইজারাদার মঈন উদ্দিন জানান, গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাকে টানতে ট্যাক্স কমিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। তবুও ক্রেতা বিক্রেতাদের বাজারমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বাজার ইজারামূল্য আদায় করা কঠিন হবে। অস্থায়ী সব হাটের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে মুল বাজারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, বিক্ষিপ্তভাবে বাজারের কারণে মুল বাজারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বন্যার কারণে এতটা কঠোরতা করা হচ্ছে না। তবুও মুল বাজারে যাতে গরু ক্রয় বিক্রয় হয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে রাস্তায় যাতে গরু বিক্রি না হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।