সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন সকল গ্রাহককে পিক সময়ে অন্তত একটি ফ্যান এবং অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই দপ্তরের আওতাধীন এলাকাগুলোতে লোডশেডিংয়ের শিডিউল করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৬ জুলাই) এই শিডিউল করে দেওয়া হয়।
বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ, টিলাঘর, সবুজবাগ, সেনপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া ও রাজপাড়ায় বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। উপশহর ব্লক এ, বি, সি, ডি ও তেররতনে বেলা ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। উপশহর ব্লক এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি ও সাদাটিকরে রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া ও ঝেরঝেরিপাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া ও খারপাড়ায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবুরিহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট ও ওসমানী জাদুঘর এলাকায় রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। মিরেরচক, পিরেরচক, মুক্তিরচক ও মুরাদপুর এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। হকার্স মার্কেট, কালীঘাট, আলী আমজাদ রোড, মহাজনপট্টি, মাছিমপুর ও ছড়ারপার এলাকায় রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরাপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোয়াগাঁও, শাপলাবাগ ও মেন্দিবাগ এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, ওসমানী জাদুঘর ও পৌরমার্কেট (পৌরবিপনী) এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
কাজিটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া ও চারাদিঘীরপাড় এলাকায় রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। কুমারপাড়া, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড় ও ঝর্ণারপাড় এলাকায় বেলা ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুনবাজার, গোপালটিলা, আলুরতল ও টিবি গেইট এলাকায় বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। রায়নগর, ঝর্ণারপাড়, দর্জিবন্ধ, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরিপাড়া ও আগপাড়া এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক একটি রুটিন করেছি। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি না হলে আমরা চেষ্টা করব এই রুটিন ফলো করতে। তবে ঘাটতি বেশি হলে এই সময়ের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। অথবা ঘাটতি কম হলে এর চাইতেও কম সময় লোডশেডিং হতে পারে।
গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়ে শামস-ই আরেফিন বলেন, বিদ্যুতের অপচয় রোধ করে লোডশেডিং অনেকটা এড়ানো সম্ভব। সিলেটে পিডিবি-২ দপ্তরের আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। যদি পিক আওয়ারে প্রত্যেকে গড়ে ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখেন, তাহলে মোট ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ফলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসবে। এমতাবস্থায় সকল গ্রাহক পিক সময়ে অন্তত একটি ফ্যান এবং অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রেখে জাতীয় সংকট মুহূর্তে সহযোগিতা করবেন- এটাই আশা করছি।