সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রুহুল আমিন তালুকদার নিয়মিত কর্মস্থলে থাকেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি তার নিজ কর্মস্থল থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে অবস্থান করেন। ফলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়নের নাগরিকদেরকে তার স্বাক্ষর পেতে উপজেলা সদরে যেতে হয়। এতে করে নাগরিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রুহুল আমিনের বাড়ি মধ্যনগর উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নের সাড়ারকোনা গ্রামে। তিনি তার পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহে বসবাস করেন। ধর্মপাশা কলেজ রোডে তার একটি বাসা থাকলেও তিনি ময়মনসিংহে থাকতেই পছন্দ করেন। তিনি তার স্ত্রী নাদিরা বেগমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বুশরা এন্টারপ্রাইজের বিভিন্ন কাজ পরিচালনার জন্য প্রায়ই ময়মনসিংহ থেকে ধর্মপাশা উপজেলা সদরে আসেন। কিন্তু নিজের কর্মস্থলে যান না। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সচিব রুহুল আমিন বলেন, বন্যার কারণে মাঝে-মধ্যে অফিসে যাই। গিয়ে ত্রাণ বিতরণের সময় থাকি। অফিসে কম যাই এবং ঠিকাদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকি- এমনটি সত্য নয়।
সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দিপা বলেন, সচিব নিয়মিত অফিস করেন না। কিছুদিন ধরে তার অনুপস্থিতির হার বেশি। শুনেছি আগে না কি অফিস একেবারেই করতেন না, স্বাক্ষরও অন্যজন দিতেন। এখন তা করতে দেই না। তবে কেউ যদি এখন আমার আড়ালে স্বাক্ষর করে সেটি বলতে পারব না।
তিনি বলেন, সচিব ধর্মপাশায় থাকেন। জরুরি কাগজ ধর্মপাশায় পাঠিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে আনতে হয়। তার জন্য আমার ইউনিয়নের জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।