যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে এক বিলিয়ন ইউরো দেবে নরওয়ে। রুশ আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষা এবং দেশের পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য এই অর্থ দেওয়া হবে। শুক্রবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ের। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ইউক্রেনের লড়াইয়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে চায়।
জোনাস গাহর স্টোয়ের বলেন, ‘আমি এখানে বলতে এসেছি যে, ইউক্রেনের লড়াই শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়। এটি বিশ্বের কিছু মৌলিক নীতি সংক্রান্ত যা আমরা আমাদের শিশুদের জন্য রেখে যাচ্ছি। এটি ইউরোপের নিরাপত্তা সংক্রান্ত। এটি আপনার প্রতিবেশীর নিয়তি সংক্রান্ত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২২ সালের অবশিষ্ট অংশ এবং ২০২৩ সালের জন্য আপনাদের দেশ এবং জনগণকে সহায়তার জন্য এক বিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি দেবো।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আপনাদের রয়েছে। আমাদেরও অধিকার রয়েছে আপনাদের আত্মরক্ষায় করতে সাহায্য করার।’
নরওয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ইচ্ছুক কিনা জানতে চাইলে স্টোয়ার বলেন, নরওয়ে ইতোমধ্যেই ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ গ্যাস উৎপাদন করছে। গ্যাস সরবরাহের জন্য যা যা করা সম্ভব সেটি তার দেশ করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখা দরকার যাতে যুদ্ধের অবসান হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।