নবীগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় হিন্দু ধর্মের অন্যতম উৎসব জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রার রথযাত্রা শুক্রবার (১জুলাই) বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল গোবিন্দ প্রতিকৃতিসহ বাজার প্রদক্ষিণ, দুপুরে রথ টানা ও বিকেলে প্রসাদ বিতরণ।

রথযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন স্থানীয় গোবিন্দ জিউর আখড়ায় সমবেত হন। বিকেল সাড়ে ৪টায় গোবিন্দ জিউর আখড়া প্রাঙ্গণ থেকে হাজারও ভক্তবৃন্দের উপস্থিতে রথ বের হয়ে পশ্চিম বাজার এসে তা পুনরায় গোবিন্দ জিউর আখড়ায় গিয়ে শেষ হয়। পরে গোবিন্দ জিউর আখড়ায় ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

রথ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর উদ্দিন বুলবুল, অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুখেন্দু রায় বাবুল, উপজেলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ৭ নম্বর করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু, রিজভী আহমেদ খালেদ, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক, দিনারপুর কলেজের অধ্যক্ষ তনুজ রায়, নবীগঞ্জ উপজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন, নবীগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এ টি এম ফোয়াদ হাসান রাজন, সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন রায়, যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল হোসেন তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়ছল তালুকদার, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী সালমান ও নবীগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য স্বপন রবি দাশ।

উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালে পাক হানাদার বাহিনী নবীগঞ্জের প্রায় ২৫ ফুট উঁচু রথটি জ্বালিয়ে দিয়ে ধ্বংস করার ফলে পরবর্তীতে অন্য একটি রথ তৈরি করে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন।