প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামীকাল সোমবার (২৭ জুন) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় দেশেও শিগগিরই দাম কমবে। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুইটি বিষয় সমন্বয় করেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, ট্যারিফ কমিশন প্রাথমিকভাবে তথ্য নিয়ে মিল মালিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সেটা জানানো হয়। ট্যারিফ কমিশন তেল রিফাইনারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের পর জানাতে পারব, কত টাকা কমবে। তবে তেলের দাম কমবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ তেল প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে আমাদের দেশে আসে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ দিন লেগে যায়। এখানে সময়ের একটি গ্যাপ রয়েছে। তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না। তবে সুখবর হলো ইন্দোনেশিয়া থেকে এখন কিছু তেল আসে। সেখান থেকেও আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, আবার ডলারের দামও বেড়েছে। এই দুটি বিষয় সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশে প্রথমবার মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি হয়েছে বলে জানিয়ে সচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এখন হিসাব-নিকাশ চলছে। আগামী দু একদিনের মধ্যে এর প্রতিফলন দেখা যাবে।
সর্বশেষ ৯ জুন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়। প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সে সময়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে ২০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ৫ লিটার বোতলর দাম ৯৯৭ টাকা এবং প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।