তীব্র গতিতে কুশিয়ারা উপচে গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকছে পানি। তলিয়ে যাচ্ছে শত শত বসতঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন কয়েক হাজার মানুষ। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। আবার অনেকে বসতঘরের মায়া ছাড়তে না পেরে ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতেই দিনরাত পার করছেন। সরকারি বা বিভিন্ন সংস্থার ব্যক্তিরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে।
তবে ত্রাণসামগ্রী পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন বাদেপাশা ইউনিয়নের অনেক মানুষ। তারা সরকারি ও দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।
সরেজমিনে বাদেপাশা ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে গেছে সব রাস্তাঘাট, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যে কারণে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, বন্যার কারণে আমরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। দিন-রাত বুকে ভয় নিয়ে কাটাতে হয়। আমাদের কাছে ত্রাণসামগ্রী আসছে। তবে সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়। এজন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করব আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক জাহিদ হোসাইন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসে বন্যার্তদের জন্য ১০ টন ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দিয়ে গেছেন। আমার ইউনিয়নের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে আছে। খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।