বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের কথা ভাবে না। তারা সব সময় লুটপাট করতে এবং নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। দেশে যখনই কোনো সংকট দেখা দেয় তখনই তারা আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে। সিলেটের মানুষ যখন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে তখন আওয়ামী লীগ সরকার শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি শিল্পীদের এনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে আনন্দ উৎসবে ব্যস্ত। আনন্দ উৎসবের নামে ব্যয় করা এই শত কোটি টাকা যদি বন্যার্তদের দেয়া হতো, তাহলে দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতো।
শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড এলাকায় সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের আর্থিক সহযোগিতায় এবং জেলা বিএনপির ব্যবস্থাপনায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন বলেন, এই বন্যায় সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে তা খুবই অপ্রতুল। সিলেটের মানুষ যখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বানভাসি মানুষের পাশে আছে। আপনারাই সময়মতো এর কঠোর জবাব দেবেন।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে এম নাসের রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের ফুলঝুরি দেয়, চারদিকে না কি উন্নয়ন আর উন্নয়ন। কিন্তু দেশের জনগণ তো উন্নয়ন দেখছে না। সিলেটের মানুষ বানের পানিতে ভেসে যাচ্ছে। সিলেটবাসীর প্রিয় নেতা এম সাইফুর রহমান মাত্র ৫ বছরে যে উন্নয়ন করেছিলেন আওয়ামী লীগ ১৩ বছরে এই উন্নয়নের ধারেকাছেও যেতে পারেনি। ২০০৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান মন্ত্রীরা বন্যা পরিদর্শনের নামে রাজকীয় নৌভ্রমণ করছেন, জনগণকে পানিবন্দি রেখে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, এই দুঃসময়ে আপনাদেরকে ছেড়ে কোথাও যেতেন না। তাই সময়মতো আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
এ সময় সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদসহ বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।