সিলেটের ওসমানীনগরের শতভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত। চারিদিকে পানি আর পানি। মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বন্যার পানি বৃদ্ধি না পেলেও পানি কমেনি। পানি স্থির অবস্থা বিরাজ করছে। বন্যার্থ মানুষের মধ্যে কষ্ট বাড়ছে, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার সকল রাস্তা ঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। নৌকাই ভরসা।
এদিকে, বন্যা আক্রান্ত মানুষ গরু-বাছুর, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এছাড়াও খাদ্যদ্রব্য ও আসবাবপত্র রক্ষা করতে মানুষ নিরাপদ স্থানের খুঁজে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছেন এখনো। বৃহস্পতিবার বিকাল ৬ টার দিকে বৃষ্টি হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। রাত হলেই অজানা আতংক বিরাজ করে বানবাসী মানুষের মাঝে।
ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসন বন্যার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি লোকের সংখ্যা হচ্ছে, ১ লক্ষ ২০ হাজার, পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির পরিমান হচ্ছে, ২ হাজার ৯৫ হেক্টর, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৬৪টি, এর মধ্যে ৬১ টি কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত পরিবারে সংখ্যা ১ হাজার ৫ শ ৯৯ টি, সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্থদের জন্য চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৯৮ মেট্রিক টন, নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) চাল বরাদ্দ দেয় হয়েছে ৮৬ মেট্রিক টন এবং নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার (২৪ ঘন্টা) বিতরণ করা হচ্ছে ১২শ প্যাকেট।