কৃষ্ণ সাগরের সম্ভাব্য নিরাপদ করিডোরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রফতানি করতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। মস্কোতে এক আলোচনার পর বুধবার রাশিয়া এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনার ফলাফল হিসেবে দেশটির শুস্ক পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ আজভ কনকর্ড নিরাপদে মারিউপোল ছেড়েছে। এছাড়া আরও জানানো হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম কোনও বিদেশি জাহাজ ইউক্রেনীয় বন্দরটি ছেড়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর অন্যতম ইউক্রেন। তবে রুশ আগ্রাসনের জেরে রফতানি অচল হয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ উভয় দেশের পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রতিবেশি তুরস্ককে একটি নিরাপদ করিডোর তৈরির বিষয়ে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর মারিউপোল বর্তমানে রাশিয়া এবং মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। কয়েক মাস অবরোধ করে রাখার পর মে মাসে এটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় তারা।
মস্কো চায় শস্য ও সার রফতানি সহজতর করতে হলে কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যদিকে কিয়েভ জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার জন্য তার বন্দরগুলোর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চায়। ইউক্রেন আরও বলেছে তাদের অনুমোদন ছাড়া কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে না।
ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ক জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনা নিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। তবে তারা বলছে চুক্তিতে পৌঁছাতে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। তারা বলছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেন যে দাবি উত্থাপন করেছে তা যৌক্তিক।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করিডোর, ইউক্রেনের বন্দর থেকে জাহাজের নিরাপদ প্রস্থান এবং ইউক্রেনের বরিসপোল বিমানবন্দরে তুর্কি বিমানের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার তুর্কি ও রাশিয়ার সামরিক প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ছিলো দীর্ঘ, ‘ইতিবাচক এবং গঠনমূলক’।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনার কয়েক ঘণ্টা পরই আজভ কনকর্ড মারিউপোল বন্দর ছেড়ে যায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সমস্যা সমাধানে তুরস্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জাতিসংঘের মধ্যে আলোচনার জন্য একটি সমঝোতার জন্য বোঝাপড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই কাঠামোতে, দেখা গেছে ইউক্রেন এবং জাতিসংঘের পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কে চার পক্ষের একটি বৈঠকের আশা করা হচ্ছে’।
সূত্র: রয়টার্স