সুনামগঞ্জ জেলার অনেকের আত্মীয়-স্বজন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে সারা দেশের সাথে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। ছিল না মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক।
গতকাল সোমবার (২০ জুন) জেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও সব জায়গায় এখনও বিদুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ চালু হয়েছে, সেসকল এলাকায় আবার বিদুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে ঘণ্টা হিসেবে বেশি টাকা দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল ফোন চার্জ করে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।
আবার যে সকল এলাকায় বিদুৎ এসেছে, সে সকল এলাকায় মোবাইল চার্জ দেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন লোকজন। যারা ফোনে চার্জ দিতে পারছেন, তারা মনে করছেন যেন হাতে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন!
শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা আবজাল মিয়া বলেন, আমি কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। নেটওয়ার্ক নেই। সাথে ফোনের চার্জও নেই। শুনেছি শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। সেখানে গিয়ে যদি সুযোগ পাই তাহলে মোবাইলে চার্জ দেব।
দেখা গেছে, পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় ফোনে চার্জ দিতে শত শত মানুষ ভিড় করেছেন। যে কোনো উপায়ে চার্জ দিতে মরিয়া মানুষ। মাল্টিপ্লাগের পয়েন্ট একটিও খালি নেই।
সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরের বাসিন্দা, যুক্তরাজ্যের লুটন শহরে বসবাসকারী প্রবাসী মাহমুদুর রহমান তারেক ফোনে বলেন, দেশে কারও সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারিনি। সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। আশপাশের কারও ফোনেও কল ঢুকছে না। আমার ভাই-বোন সবাই দেশে আছেন। কিভাবে যোগাযোগ করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
আরেক প্রবাসী নর্থ লন্ডনে বসবাসকারী ফয়সাল আহমদ বলেন, আমি স্বজনদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, কিন্তু কাউকেই পাচ্ছি না। সিলেট শহরে দুই-একজনকে পেয়েছি, তাও নেটওয়ার্ক অনেক ঝামেলা করছে। স্বজনদের সাথে যোগাযোগ হলে অনেক শান্তি পেতাম।