আকস্মিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের এলাকা ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয় সিলেট নগরীও। এ অবস্থায় সিলেট নগরীর বন্যাকবলিত ওয়ার্ডসমূহে ত্রাণ বিতরণে গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নগরীর আম্বরখানায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বন্যাকবলিত ওয়ার্ডসমূহের ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে আয়োজিত সভায় এমন তথ্য জানানো হয়।
এসময় নেতৃবৃন্দ জানান, মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ টানা ১১ দিন বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতার জন্য সকাল, দুপুর ও রাত পর্যন্ত কাজ করে চলছেন। বৃষ্টিতে ভিজে, পানি ভেঙে অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। বন্যার্তদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
এসময় বলা হয়, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক উপকমিটি আগের মতোই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাজ অব্যাহত রাখবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করবেন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করবে। কোনোভাবেই বন্যাকবলিত ওয়ার্ডসমূহ যাতে ত্রাণ সামগ্রী থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতিমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীকে বন্যার্তদের উদ্ধার ও সহযোগীতার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বন্যার সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দিয়েছেন। তাছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন এমপি বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য সবাইকে আহবান জানিয়েছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যদের মধ্যে আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মো. শাজাহান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল।
এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জুনেদ আহমদ শওকত, গৌসুল আলম, হায়দার মো. ফারুক, মুহিবুর রহমান সাবু, কামাল আহমদ, সালাউদ্দিন বক্স সালাই, মাহবুবুর রহমান মবু, আক্তার হোসেন, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, মুফতি আব্দুল খাবির, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, মো. বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, মাহবুব খান মাসুম, রুমিন আহমদ, শেখ সোহেল আহমদ কবির, এম.এ খান শাহীন, এডভোকেট আরিফ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।