সিলেটে হঠাৎ করে আসা প্রবল বন্যায় কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও সিলেট সদর উপজেলাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলে আটকা পড়ে বহু মানুষ। একদিকে জলবন্দি, অপরদিকে বিদ্যুৎবিহীন থাকায় তারা মুঠোফোনে কারো সাথেই যোগাযোগ করতে পারছিল না।
এমন বাস্তবতায় মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করে সিলেট জেলা পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম এর সার্বিক নির্দেশনায় ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে জেলা পুলিশের সদস্যরা গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়ন এবং সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আওতাধীন নন্দীরগাও ও তোয়াকুল ইউনিয়নের পানিবন্দী প্রায় ১৫০ পরিবারের সদস্য ও তাদের গৃহপালিত পশু স্পিড বোট ও ভাড়া করা ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও বলগেটের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসে।
গোয়াইনঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ এর নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযানকালে পানিবন্দী মানুষকে শুকনা খাবার ও পানি সরবরাহ করেন গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কেএম নজরুল। এছাড়া পুলিশের গাড়ির ব্যবহার করে লোকজনকে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকার পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবার কাজের তদারকি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। এছাড়া জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট থানা এলাকার পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবার কার্যক্রম তদারকি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মাহফুজ আফজাল।
এছাড়া জেলার সীমান্তবর্তী থানা জকিগঞ্জে বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে থানা পুলিশের সকল সদস্যরা একযোগে কাজ চালিয়ে যান।
জকিগঞ্জ সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা মানুষকে শুকনা খাবার ও পানির বন্দোবস্ত করেন। এছাড়া জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর প্রাপ্ত কল ও জেলায় ব্যবহৃত জরুরী নম্বরে বিভিন্ন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করা হয়।