সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে পানি। দ্বিতীয় দফার হঠাৎ বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সিলেট অঞ্চলের মানুষ।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড অনুযায়ী সামান্য কমেছে। নদীর পানি কমলে পানি বাড়ছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি এলাকার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (১৭ জুন) বিকাল ৩টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় রেকর্ড হয় ৯.১০ মিটার। যা বিপৎসীমার ১.৩৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সাইল কান্দি, ভেলকোনা পূর্বপাড়া ও সুড়িকান্দি, গয়াসী গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক তলিয়ে গেছে। ফলে গ্রামগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ডন্ডি, উত্তর পাড়া, উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী গ্রাম বারহাল, মইনপুর এলাকার কয়েকটি বাড়ী ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের আবাসিক এলাকা ইন্তাজ আলী মার্কেট, নাথ কলোণীসহ কিছু কিছু এলাকার বাসা বাড়ীর উঠানে পানি উঠে পড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে যেকোন মুহূর্তে বাসাবাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমীন জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেঞ্চুগঞ্জে সকল ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খুলে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।