সুনামগঞ্জে ভ্রমণে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থী। তারা খাবার, সুপেয় পানিসহ নানা সংকটে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধারের জন্য তারা আরজি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দলটি তিন দিন আগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
এ অবস্থায় ভ্রমণে যাওয়া ঢাবির এই শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. শোয়াইব আহমেদ। তিনি জানান, তারা তিন দিন আগে ঘুরতে টাঙ্গুয়ার হাওরে যান। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিতে তারা সুনামগঞ্জ শহরের ‘পানসী’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নেন। সেখানে তারা আরও অনেকের সঙ্গে আটকা পড়েছেন।
শোয়াইব আহমেদ বলেন, আমরা এখানে খাবার, সুপেয় পানির সংকটে আছি। এখানে শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও ঠিকমতো কাজ করছে না। সব মিলিয়ে আমরা খুব দুরবস্থার মধ্যে আছি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি। প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলার প্রায় সব উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ।