পাকিস্তানের নাগরিকদের আবারও রাজপথে নেমে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রবিবার রাত নয়টায় রাজপথে ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের’ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি সরকার ‘অর্থনীতি সামলাতে অক্ষম হওয়ায়’ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, দেশের মানুষ যদি ‘অলস বসে থাকে’ তাহলে সামনের দিনে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমি সমগ্র জাতিকে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ট্রেড ইউনিয়ন, পেশাজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, কেরানি এবং সরকারী কর্মীদের রাস্তায় নামার আমন্ত্রণ জানাই’।
ইমরান বলেন তিনি বর্তমান শাসকদের কাছে জানতে চান অর্থনীতি এবং দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম না হয়েও তারা কেন ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’। তিনি বলেন, দেশবাসী বিরোধী দলে থাকার সময়ে বর্তমান সরকারের নেতাদের কথা মনে রেখেছে। ওই সময়ে তারা মুদ্রাস্ফীতির সমালোচনা করতো। ইমরান বলেন, ‘এখন বাস্তবতা সবার সামনে’।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন সরকার ছেড়েছিলাম, তখন পেট্রোলের দাম ছিল লিটার প্রতি ১৫০ রুপি এবং আমাদের সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে তা ৫০ রুপি বাড়ানো হয়’।
ইমরান খান জানান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের ওপরও পেট্রোলের দাম বাড়াতে চাপ প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আর সেকারণেই ‘জনসাধারণের উপর জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির আসন্ন প্রভাব উপলব্ধি করে আমরা ভর্তুকির জন্য ২০ হাজার কোটি রুপি সংরক্ষিত রেখেছিলাম’, বলেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, বর্তমান সরকার মাত্র ২০ দিনের মধ্যে পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে ৮৫ রুপি। আর তার নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকারের প্রায় চার বছরের শাসনামলে দাম বাড়ানো হয় মাত্র ৫০ রুপি। তিনি সতর্ক করেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সামনের দিনগুলোতেও চলতে থাকবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান ডিজেলের দাম আরও বাড়ানো হলে দেশে ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ নেমে আসবে। তিনি বলেন, তার সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৬ রুপিতে রেখেছিল, নতুন সরকার এটি প্রতি ইউনিট ৩০ রুপিতে নিয়ে গেছে।
ইমরান বলেন, ‘২০ কেজি গমের একটি বস্তা ১১০০ রুপিতে পাওয়া যেত এবং তা এখন ১৫০০ রুপিতে পৌঁছেছে। একইভাবে প্রতি কেজি ঘির দাম ৪০০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ রুপি করা হয়েছে’।
সূত্র: ডন