প্রথম দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার মানুষ। উপজেলার সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বানের জলে তলিয়ে গেছে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাথা গোজার ঠাঁই নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ বানভাসী মানুষদের। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বানভাসী অনেকে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকতে শুরু করেছে বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ মানবিক সংকটের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের আজর আলী জানান, বন্যায় ঘরে কোমড় পানি। কোথাও আশ্রয় না পাওয়ায় ঘরের মাঝেই মাছা বানিয়ে পরিবারের সবাইকে অবস্থান করছি। খুবই কষ্টে দিনানিপাত করছি।
দর্গাপাশা ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের মারজান আহমদ জানান, বন্যায় গ্রামের একমাত্র সড়ক তলিয়ে গিয়ে গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়কের উপর দিয়ে প্রবল বেগে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রামবাসী খুবই দুর্ভোগে রয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এমন অবস্থায় বানভাসী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসী পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আগামীকাল থেকে বন্যার্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।