ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে টানা তৃতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনায় তলবের পর বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ইডি সদর দফতরে পৌঁছান দেশটির বিরোধী এই নেতা। এই জিজ্ঞাসাবাদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ দাবি করে ইডি কার্যালয় এবং কংগ্রেস কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসব বিক্ষোভ থেকে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারী বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকর্মীকে টেনে হিঁচড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে তোলা হচ্ছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী, ভুপেশ ভাগেল এবং পবন খেরার মতো দলের শীর্ষ নেতারাও বিক্ষোভে অংশ নেন।
এর আগে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মীদের ইডি সদর দফতরে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। তাদের দাবি শাসক দলকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীকে ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে (পিএমএলএ) তার বক্তব্য একাধিক সেশনে রেকর্ড করেন। সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, জমা দেওয়ার আগে প্রতিলিপি ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছেন কংগ্রেসের এই নেতা।
আগের রাতে দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাহুল গান্ধী তার বোন ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রকে নিয়ে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে মা এবং কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যান।
গত সোমবার রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তদন্ত সংস্থা। সেদিন ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
সোমবার থেকেই দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। তাদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার রাহুল গান্ধীকে ‘ভুয়া’ মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কংগ্রেস বলছে রাহুল গান্ধীকে তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির’ অংশ। এর মাধ্যমে বিজেপি বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তাদের।
তদন্ত সংস্থাটি সোনিয়া গান্ধীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। আগামী ২৩ জুন ইডি কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হবেন তিনি। কোভিড-সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে রবিবার হাসপাতালে ভর্তি হন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
মামলাটি ইয়াং ইন্ডিয়ান এবং অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) এর মধ্যে কথিত আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে ইডি তদন্তের সাথে সম্পর্কিত। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান এজেএল।
সূত্র: এনডিটিভি