একসময়ের বহু হিট ছবির নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সংগঠক হিসেবেও সহজাত। বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। সমস্যা-সংকটে তার কাছেই সবাই দ্বারস্থ হন। সর্বশেষ গেছেন ওমর সানী।
দ্বন্দ্বটা মৌসুমী, ওমর সানী ও জায়েদ খানকে ঘিরে। কী হচ্ছে এর সমাধান?
গতকাল (১৪ জুন) রাতে প্রশ্ন করা হয়েছিল কাঞ্চনকে। নতুন চলচ্চিত্র ‘তালাশ’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এই তারকা অভিনেতা। পাশাপাশি সবাইকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইছি না। শুধু একটা কথাই বলবো, সমস্ত চলচ্চিত্র কর্মী ও শিল্পীদের কাছে আমার অনুরোধ, চলা-ফেরা, কথাবার্তা ও আচার-আচরণে আপনারা সংযত হন।’
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তালাশ’ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন এ কথা বলেন।
সম্প্রতি অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে ওমর সানী সপাটে চড় মারেন জায়েদ খানকে। অভিযোগ আছে, জায়েদ খানও পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। চড় মারার কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, গত চার মাস ধরে জায়েদ মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছে।
শনিবার (১১ জুন) রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পরদিন (১২ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন ওমর সানী।
সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্রে ওমর সানী বলেন, ‘আমি ওমর সানী এই সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সমিতির সদস্য জায়েদ খান গত চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয় করার চেষ্টা করে আসছে।’
কিন্তু গতকাল (১৩ জুন) মৌসুমী দাবি করেন, জায়েদ খান তাকে সম্মান করেন এবং তিনি বেশ ভালো মানুষ। বিরক্ত বা উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটেনি। এটা সানী ও মৌসুমীর ব্যক্তিগত বিষয়।
এর আগে রোববার (১২ জুন) ওমর সানী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার দাবি, গত চার মাস ধরে জায়েদ খান তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে বিরক্ত করছেন। এই নিয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।