সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, আদালতের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গরীব বান্ধব হতে হবে। যারা গরীব, তারা অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে একটু ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আমাদের কাছে আসে-তারা যেন কোন অবস্থতেই বঞ্চিব না হয়। প্রশিক্ষর্ণীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ক লিস্ট সঠিক ভাবে তৈরী করতে হবে। ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় ক্রিমিনাল অর্ডিন্যান্স সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে কাজ করলে বিচারপ্রার্থীরা সুফল পাবেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতার ওপর একটি দেশের সভ্যতার মানদ-নির্ধারিত হয়। দেশের বিদ্যমান সকল সমস্যার মধ্যে মূলে রয়েছে বিচার বিভাগ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রোববার (১২ জুন ) চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটের কনফারেন্স হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী সিলেট আয়োজিত সহায়ক কর্মচারীদের ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২২ এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটের চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানার মলির সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন বেগম, সিলেটের বিদ্যুৎ কোর্ট (বিউবো)’র ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) মোঃ আনোয়ারুল হক, ৩য় আদালত সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত তাসনিম, ২য় আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা ইয়াছমিন, ৩য় আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর হোসেন, ৫ম আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান।
অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাগণের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ১ম আদালত সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল ওয়াহাব। কর্মচারীণের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহমদ, স্টেনোগ্রাফার দীপংকর পাল, ৩য় শ্রেণির কর্মচারীগণের পক্ষে নাজির- মোঃ ফাইজুল ইসলাম, ৪র্থ শ্রেণিল কর্মচারীগণের পক্ষে প্রসেস সার্ভার মোঃ মঈনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।