পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হলো নূপুর শর্মা ও তার পরিবারকে। বিজেপির এই সাবেক মুখপাত্রের জন্য দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার (৭ জুন) নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তার বয়ানে বলা হয়েছে, নূপুর অভিযোগ করেছেন, তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার অভিযোগে বিজেপি নূপুর শর্মাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং দলটির নেতা নবীন কুমার জিন্দলকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। তাদের এই মন্তব্য ঘিরে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা গত মাসে এক টেলিভিশন বিতর্কে মহনবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। আর দলের দিল্লি শাখার মিডিয়া ইউনিটের প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল এ বিষয়ে টুইটারে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
তাদের মন্তব্য, বিশেষ করে নুপুর শর্মার কথা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে বেশ ক্ষুব্ধ করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। শুক্রবার (০৩ জুন) কানপুরের কিছু অংশে জুমার নামাজের পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং ১৬টি দেশ বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে।
মহানবীকে (সা.) নিয়ে আপত্তিজনক ও অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে গত ২৮ মে মুম্বাইয়ে নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন মহারাষ্ট্রের ইসলামি সংগঠন রাজা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক ইরফান শেখ। মুম্বাই পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নিলেও সোমবার (৬ জুন) মহারাষ্ট্র পুলিশ নুপুরকে সমন জারি করে।
তাতে বলা হয়েছে, মহানবীকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে ২২ জুন নুপুর শর্মার বক্তব্য নেয়া হবে। সমন জারির পরিপ্রেক্ষিতে কী করবেন, সে বিষয়ে পুলিশকে এখনো কিছু জানাননি তিনি। নুপুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়া, ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, জনজীবনে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।
নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল এরই মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যদিকে, নুপুর শর্মাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং নবীন কুমার জিন্দালকে দল থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
মহানবীকে (সা.) নিয়ে আপত্তিজনক ও অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে গত ২৮ মে মুম্বাইয়ে নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন মহারাষ্ট্রের ইসলামি সংগঠন রাজা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক ইরফান শেখ। মুম্বাই পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নিলেও সোমবার (৬ জুন) মহারাষ্ট্র পুলিশ নুপুরকে সমন জারি করে।
তাতে বলা হয়েছে, মহানবীকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে ২২ জুন নুপুর শর্মার বক্তব্য নেয়া হবে। সমন জারির পরিপ্রেক্ষিতে কী করবেন, সে বিষয়ে পুলিশকে এখনো কিছু জানাননি তিনি। নুপুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়া, ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, জনজীবনে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, ‘বিজেপি কঠোরভাবে যে কোনো ধর্মের যে কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানের নিন্দা করে। বিজেপি কোনো সম্প্রদায় বা ধর্মকে অপমান করে, বা হেয় করে- এমন যে কোনো আদর্শেরও বিরুদ্ধে। বিজেপি এ ধরনের মানুষ বা দর্শনকে সমর্থনও করে না।’