নির্বাচনের এখনো ৮ দিন বাকি। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা। আগামী ১৫ জুন এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাত্র ২জন প্রার্থী। এ দু’জন প্রার্থীকে ভোট দিবেন উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক ভোটার৷
চেয়ারম্যান পদে একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অপরজন ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সফিক উদ্দিন। ইতিমধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুমহীন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা। দু’জনেই সমান তালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে। প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ, পথসভা, সভা-সমাবেশ। বিভিন্ন ধরণের কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে করছেন মতবিনিময় সভা।
আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে যাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি সফিক উদ্দিনের পক্ষেও তার কর্মী-সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থীদের দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তারা ভোটারদের কাছে তুলে দরছেন।
এদিকে অনেক গোপন সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি সফিক উদ্দিন রাজনৈতিক দলের লোক হওয়ায় অনেক নেতাকর্মীরা গোপনে তার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নৌকার প্রার্থীর পক্ষেও শক্ত অবস্থানে রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা৷
তবে এ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে বলে মনে করছেন সবাই। যদি কোন ধরণের কারচুপি না হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত হাড্ডিহাড্ডি লড়াই হবে নির্বাচনে। অনুমান করেও বলা যাচ্ছে না কোন প্রার্থী বিজয়ী হবেন।
আরো জানা যায়, যদিও বিএনপি ও জামায়াতের কোন প্রার্থী নেই। তাই বিএনপি ও জামায়াতের অধিকাংশ লোক দু’জন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এদিকে নির্বাচনে বিজয়ী হতে শতভাগ আশাবাদী দু’জন প্রার্থী। দুজনের কাছ থেকে বড় ধরণের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি সফিক উদ্দিনের কয়েকটি এলাকায় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন প্রতিদিন নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করছেন।