একজন মেধাবী, দক্ষ, ত্যাগী, যোগ্য, সৎ আর পরিশ্রমী, আদর্শবান নেতার সঠিক নেতৃত্বই একটি দেশ তথা জাতিকে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করে। কিন্তু এ লক্ষে পৌঁছানোর জন্য নেতার একটি সুন্দর ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত। যার সব গুণই রয়েছে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) এলাকার একটানা ৩ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের।
অনেক রাজনৈতিক নেতাই নিজ এলাকায় এসে কিছু টাকা কিংবা বড় বড় রাজনৈতিক পদবী বা প্রশাসনিক ক্ষমতার বলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দরিদ্র সাধারণ জনগণকে ব্যবহার করে। বেশির ভাগ সময়ই দরিদ্র সরল মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের ভোটে এমপি হয়ে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা প্রয়োগ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বিশাল সম্পদের মালিক হয়ে যান। বনে যান ভিআইপি কিংবা সিআইপি। আবার কিছু মানবিক গুণাবলীর মানুষ রয়েছেন, যারা নিঃস্ব অবস্থা থেকে সততা পরিশ্রম এবং ত্যাগের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উপার্জিত অর্থ-বিত্ত নিজের প্রয়োজনে ভোগ না করে দরিদ্র নিরীহ জনগণের মাঝে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে মানসিক তৃপ্তি পান। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রকৃতির মানুষ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে তাঁরা যদি কোনো কারণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি হতে পারেন, তখন তাঁদের ধ্যান, জ্ঞান এবং পরিকল্পনা থাকে এলাকার নানা সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানসহ জনগণের সার্বিক উন্নয়ন করা। তাঁদের নিজস্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি থাকায় সরকারি সম্পদ বা অর্থ লুটপাট করার কোনো পরিকল্পনা তাঁদের থাকে না। বরং সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি নিজের উপার্জিত অর্থও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করেন। তেমনি একজন আদর্শবান মানুষ এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) এলাকার একটানা ৩ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ডের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য আমার ক্ষুদ্র এই লিখা।
আমরা সবাই জানি একজন মানুষ মহান হয়ে উঠে তার কৃতকর্মের মাধ্যমে। কিন্তু তার জন্য দরকার হয় বিধাতার রহমতের এবং মানুষের ভালবাসার। মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ট হওয়ার পর সারাজীবন কি কর্ম করলো এটাই তার ভালমন্দের বিচারের মাপকাঠি। তার জন্ম ভাল জায়গায় হোক কিংবা খারাপ জায়গায় হোক এটা দেখার বিষয় না। কথায় আছে “জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভাল”। যে কোন মানব সন্তান কর্ম দ্বারা ব্যাপকভাবে সুনামের অধিকারী হতে পারে আবার কর্ম দ্বারা ব্যাপকভাবে বদনামের অধিকারীও হতে পারে। এটাও সত্য প্রত্যেকটা লোকেরই ভালমন্দ উভয় কর্মই রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে তার মন্দটা ইচ্ছেকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত কিংবা একজনের মন্দ করতে গিয়ে দশজনের উপকার হচ্ছে কিনা।
কিছু কিছু গুণ বা ভাল কাজ মানুষকে আজীবন স্মরণীয় করে তুলে। আর তা বহমান থাকে মৃত্যুর পরেও অনাধিকাল পর্যন্ত। যুগ যুগ ধরে মানুষ তাকে স্মরণে রাখে ভাল কাজের জন্য। আর তার অবর্তমানে আক্ষেপ করে তাকে হারানোর জন্য। পাশাপাশি খুঁজে বেড়ায় মানবসেবক ঐ লোকটির মতো আর একজন গুণী মানুষকে। এ ধরায় সবচেয়ে সত্য কথা হচ্ছে মানবসেবা ছাড়া কোন মানুষ কোনকালেও মানুষের মনের ভালবাসা পায়নি। এমনকি মানবসেবা না করলে আল্লাহর ভালবাসাও পাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে না। এই সকল মানবসেবক দীর্ঘকাল পরপর একেক অঞ্চলে ভাগ্যগুণে আর্বিভুত হয়। এই সকল সমাজসেবক, জনদরদী মানুষগুলো এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষের আর্শিবাদ স্বরূপ আরোহন করে থাকে। তেমনি একজন মানুষ হলেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এলাকার সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে শুরু করে গরীব অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন। পাশাপাশি তিনি আইনি পেশায় জড়িত হয়েও সমাজের অনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিরোধসহ নির্যাতন নিপীড়নে ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার পেতে আইনি লড়াই করেছেন সর্বদা।
দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রূপকল্প পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আইনি পেশায় থেকে বিভিন্নভাবে অসহায় গরীব দুঃখী মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার মাধ্যমে দুই উপজেলায় পদার্পন করেন। স্বল্প সময়ে নিজ কর্মগুণে মানুষের খুবই আপন ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে নির্বাচনী এলাকার এমপি নির্বাচিত হয়ে পাল্টে ফেলেন হাজার বছরের অবহেলিত বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জরাজীর্ণতা।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর বানিয়াচং উপজেলার কবিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতার নাম মোঃ আব্দুল হাসিম ও মাতার নাম ছালেমা খাতুন। তিনি কৃষক পরিবারের সন্তান।
দেশ স্বাধীনের পর অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সংসদ সদস্য হওয়ার পূর্বে আরও সাতজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান হলেন সপ্তম সংসদ সদস্য। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন, ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মেজর জেনারেল এম এ রব, ১৯৭৯ সালে বিএনপির অ্যাডভোকেট জনাব আলী, ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সিরাজুল হোসেন খান, ১৯৯১ ও ৯৬-এর নির্বাচনে টানা দু’বার এমপি হন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ তৎকালীন সভাপতি মরহুম অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন আহমেদ। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শিল্পপতি নাজমুল হাসান জাহেদ এবং সর্বশেষ ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা তিনবার এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেউ আবার সরকারের মন্ত্রীও হয়েছেন।
অন্যান্য এমপি/মন্ত্রীদের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলনা করলে স্পষ্টতঃ অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এর উন্নয়ন কার্যক্রমের তারতম্য এমনিতেই ভাসমান।
২০০৯ সালে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটেের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই দুই উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকার উন্নয়নে সরকারি ও অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) উপজেলাকে একটা আধুনিক ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় এবং চেষ্টা করলে সফল হয়। এ কথাগুলোর সত্যতার প্রমাণ করলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি। দীর্ঘ ১৫ বছর সময়ে একক প্রচেষ্টায় উনার ব্যক্তিগত আর্থিক সাহায্য ছাড়া নির্বাচিত এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে বা এখনও চলমান আছে। এছাড়াও আব্দুল মজিদ খান বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জবাসীর বিভিন্ন প্রয়োজনে বিশেষ করে চিকিৎসা, বাসস্থান নির্মাণ, মসজিদ, মাদ্রাসা, গরীবের বিয়ে ইত্যাদিতে সাহায্য করা সবসময় নিজস্ব অর্থায়নে ব্যক্তিগতভাবে অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করেন। বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার এমন কোন গ্রাম বা সমস্যা নেই, যে গ্রামে এমপি আব্দুল মজিদ খান এর সরকারি বা ব্যক্তিগত অনুদান পৌঁছে নাই বা যে কোন সমস্যা সমাধান হয় নাই। কিডনি ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, হার্টের রিং পড়ানো, বিবাহযোগ্য অসহায় বাবা-মায়ের কন্যার বিয়ের খরচ হতে শুরু করে গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরীর টাকা প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও অনেক জনপ্রতিনিধিকেও আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে রিং পড়ানোর টাকা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার ব্যয় বহন করার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।
বিশেষ করে উন্নয়ন বঞ্চিত ও অবহেলিত পূর্ব ১৫টি ইউনিয়নের জন্য আশার আলোরূপে আবির্ভূত হওয়া আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতই এক অমূল্য ধন মজিদ খান।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ হাওরবেস্টিত এলাকায় যোগাযোগের মাধ্যম ছিল “বর্ষায় নাও আর হেমন্তে পাও”। যেখানে নির্বাচনী এলাকার জনগণের যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা ছাড়া বিকল্প আর কোন বাহন ছিলনা। বিশেষ করে আজমিরীগঞ্জ থেকে দেশের যে কোন স্থানের যোগাযোগ মাধ্যম একমাত্র বাহন ছিল নৌকা ও হেমন্তে পায়ে হাঁটা। সেখানে আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারায় এমপি মজিদ খান এর মাধ্যমে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দে বড় বড় ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণে আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিণত হয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা থেকে মানুষ সুনামগঞ্জ, মদনপুর, দিরাই, শাল্লা, জলসুখা, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ জেলা সদর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে যেতে বিআরটিসি গাড়িসহ মালিকানা বড় বড় বাস দিয়ে স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে আরাম-আয়েশে যেতে পারে। যা বছরের ১২মাসই দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি যা মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
তেমনিভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি বরাদ্দের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট, বেসরকারি স্কুল-কলেজ সরকারিকরণসহ বহুতল ভবন নির্মাণ, ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষি, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ নিজস্ব বাড়ি, বিভিন্ন ভাতা ইত্যাদি নানাবিধ অভূতপূর্ব উন্নয়ন কার্য পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এর মাধ্যমে ২০০৯ খ্রি.থেকে ২০২৩খ্রি. পর্যন্ত সম্পাদিত হয়েছে প্রায় তিন হাজার সাতশত ছিয়াত্তর কোটি টাকার কাজ। এছাড়াও চলমান ও পূর্ব পরিকল্পিত উন্নয়নমূলক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যা সম্পাদিত বাজেটের অন্তর্ভুক্ত নয়। এক কথায় যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে তা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নের কারণে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও সামান্য সমালোচনা না করে উন্নয়নের সত্যতা স্বীকার করে।
নীতি-নৈতিকতার ক্ষেত্রে আব্দুল মজিদ খান আপোষহীন। যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যত নিকটস্থ আপন লোকের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিতেও বিন্দু পরিমান কার্পণ্য করেন নাই। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, মামলাবাজ এবং দুর্নীতিবাজ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের অগ্রনী ভূমিকা রেখে কঠোর হস্তে দমন করার ক্ষেত্রে বিন্দু পরিমাণ সময়ক্ষেপণ করেন নাই। এমপি মজিদ খানের দ্বার সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকে। যেকোন সমস্যা নিয়ে মজিদ খানের ভিতরে প্রতিহিংসার রাজনীতির বিন্দু পরিমাণ ছোঁয়াও নেই।
একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুল মজিদ খান উনার ১৫ বৎসরের ক্ষমতায় থাকাকালীন যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন, তা হবিগঞ্জ-২ আসনের জনগণ অনন্তকাল সুখে-স্বাচ্ছন্দে ভোগ করতে পারবে। নিজের মানবিক গুণাবলী দ্বারা ধনী-গরীব সকল শ্রেণি পেশার মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসা যা অর্জন করার সবটুকুই উনি অর্জন করেছেন। এমপি নির্বাচিত হয়ে হাজার বছরের অবহেলিত দুই উপজেলার নির্বাচিত এমপি’দের প্রতি জনগণের যে আস্থাহীনতা ছিল, উনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্বারা রাজনৈতিক নেতারা সাধারণ জনগণের আস্থা সৃষ্টি করেছেন। তিনিই একমাত্র নেতা, রাজনৈতিক নেতার মাঝে যে অনেক মানবিক গুণাবলী সন্নিবেশিত থাকে, দীর্ঘ ১৫ বৎসরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরোপকারী মনোভাব দ্বারা প্রমাণ করে দিয়েছেন। সব নেতারই প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বি থাকেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু কাউকে তিনি শত্রু মনে করেন নি। তিনি দুষ্টের দমন করে শিষ্টের লালন করেছেন। তিনি একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে ন্যায় বিচারের স্বার্থে অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছেন। কিন্তু কাউকে অত্যাচার করেননি। সর্বোপরি তিনি ছিলেন ষ্পষ্টবাদী, পরোপকারী এবং ন্যায়-নীতির আদর্শের ধারক ও বাহক। তাই যতরকম মিথ্যে অপপ্রচারই উনার বিরুদ্ধে চালানো হোক না কেন, উনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সৎ সাহস, মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালবাসা, আত্মসমালোচনা এবং কর্মীদের অন্যায় কর্ম হতে বিরত রাখা, সর্বোপরি একজন এমপি হিসেবে নয়, জনগণের একজন প্রকৃত নির্লোভ মানবদরদী বন্ধু হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছেন মানুষের মনে এবং অন্তরের খুবই গভীরে।
মো. আব্দাল মিয়া
লেখক ও প্রকাশক
সাধারণ সম্পাদক, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব।