মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরে যে সকল রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে বা এখনও স্বাধীনতার জন্য লড়ছে, তারা সকলেই এই ভাষণ দ্বারা প্রভাবিত ও উজ্জীবিত। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। আমাদের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালেয়র সকল শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পড়তে হয়, বঙ্গবন্ধুর দর্শন জানতে হয়। এটি আমাদের কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত।’
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষডের ডিন ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফার সভাপতিত্বে এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব অনিক বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শিব প্রসাদ সেন, মুখ্য আলোচক ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক।
সভায় বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন শেখ আশরাফুর রহমান, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান রুহিত প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক জাতি আছে, কিন্তু সবাই স্বাধীন নয়। অনেক জাতির রাষ্ট্র নেই, রাষ্ট্রীয় পরিচয় নেই। সারা বিশ্বে বাঙালিরা বসবাস করলেও বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সেই অসাধারণ কাজটি করে গিয়েছেন। তাঁর ভাষণে দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কের চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত। ৭ মার্চের ভাষণের পরপরই বাঙালি জাতি যার যা কিছু আছে তা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস মুক্তিযোদ্ধারা এ ভাষণেই উজ্জীবিত ছিলেন।’
সভায় মুখ্য আলোচক প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ একটি উত্তর-ঔপনিবেশিক ও বি-উপনিবেশিকায়নের কন্সট্রাক্ট। যা পৃথিবীর বিখ্যাত অন্য ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত থেকে ভিন্ন ছিল। ভাষণটির মধ্যে আবেগ, আকুতি, জাগৃতি সবকিছুই ছিল। সুকৌশলে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন এই ভাষণে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী মোকাম্মেল ওয়াহিদ, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক (ইএলটি) ড. রমা ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীগণ।
এর আগে সকাল নয়টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ভিসির নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এই পর্ব পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটসের সদস্যবৃন্দ।