১০ দফা দাবিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল জেলায় পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একইসাথে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদ, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবীতে মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপির কর্মসূচি অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দিয়ে নিজেদের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিচ্ছে। শান্তি সমাবেশের নামে, অশান্তি সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে হাজার হাজার কোটিপতি তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিপরীতে ৩ কোটি মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র হয়েছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।
দ্রব্যমূল্যে মানুষ আজ অতিষ্ঠ উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারে না। দেশের শতকরা ৫৩ ভাগ মানুষ খাবার কমিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের অধিনে কোন নির্বাচনে যাবে না। যার প্রমাণ ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় শতকরা ১৫ ভাগ ভোটও পড়েনি। আওয়ামী লীগ মুখে শুধু গণতন্ত্রের কথা, বাস্তবে তাদের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় পদযাত্রা কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীসহ মহানগর বিএনপির সকল যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, জনগণ স্বোচ্চার হয়েছে, জনগণ জেগে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ হিমশিম খাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, গত ১৪ বছরের সমাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে। আমাদের জাতীয় ঋণ ছিল কম। নতুন অনেক ব্যাংক একাউন্ট তেরী হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এই দুঃশাসনের অবসান হবে ইনশাআল্লাহ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশবাসীকে যে ঝুলুম নির্যাতন করছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে হবে।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, রোকশানা বেগম শাহনাজ, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, সালেহ আহমদ খছরু।
সদস্যবৃন্দের মধ্যে- নেহার রঞ্জন দে, আমির হোসেন, মাহবুব কাদির শাহী, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, হুমাইয়ুন আহমদ মাসুক, মোর্শেদ আহমদ মুকুল, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, মাহবুব চৌধুরী, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, আফজল উদ্দিন, মতিউল বারী চৌধুরী খোরশেদ, আবুল কালাম।
মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সম্রাট হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এ্যাষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ, জেলা শ্রমিক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গির আলম জীবন, মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম।