মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল- বাংলাদেশ দলের এ পাঁচ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে ডাকা হতো ‘পঞ্চপান্ডব’ নামে। সময়ের পালাবদলে সেই পঞ্চপান্ডব এখন আর নেই। জাতীয় দল থেকে বহু দূরে রয়েছেন মাশরাফি।
দেশের সফলতম অধিনায়ক এখন আর না থাকলেও, বাকি চারজন খেলে যাচ্ছেন জাতীয় দল। এর মধ্যে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্রামে তামিম। ফলে এ চারজনকে একসঙ্গে পাওয়া যায় শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটের সিরিজে।
চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য চারজন একত্রে নেই। হজ পালনের জন্য ছুটি নিয়েছেন মুশফিক, বিশ্রাম চেয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গেছেন সাকিব। তবে সামনের দিনগুলোতে দলের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবেই থাকবেন এ চারজন।
যা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম। বুধবার (১৩ জুলাই) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ নিশ্চিতের পর তামিম জানিয়ে দিলেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে সম্ভাব্য সেরা দল সাজানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছেন তারা। কেননা সেটিই হবে চারজনের শেষ বিশ্বকাপ।
তামিম বলেছেন, ‘খুব সম্ভবত (ভারতে হতে যাওয়া) ২০২৩ সালের বিশ্বকাপটি আমাদের সবার জন্য অনেক বড় আসর হতে চলেছে। বিশেষ করে আমাদের চারজনের জন্য, যাদের এটিই শেষ বিশ্বকাপ। তাই আমরা সম্ভাব্য সেরা দল ও কম্বিনেশন নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনাই করেছি।’
বুধবার ১০৯ রানের লক্ষ্যে ৬২ বলে ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তামিম। অবশেষে ফিফটির দেখা পাওয়ায় সন্তুষ্টি তামিমের কণ্ঠে, ‘টেস্টে আমি যত রানই করেছি, ভালো খেলছিলাম। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারছিলাম না। এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই এগিয়েছি। রান করতে পেরে ভালো লাগছে।’
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। তামিমের সঙ্গে ডানহাতি ব্যাটার লিটন দাসের পরিবর্তে নামানো হয় বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তকে। মূলত ক্যারিবীয় দলের দুই বাঁহাতি স্পিনারের কথা রেখেই নেওয়া হয় এমন সিদ্ধান্ত।
আর এটি যে লিটনের পরিকল্পনা ছিল, তা জানিয়ে তামিম বলেছেন, ‘শান্তকে নিয়ে ওপেন করার বিষয়টা লিটনের দুর্দান্ত ভাবনা ছিল। ও এসে আমাকে বললো, ভাই আপনারা দুজন যদি ওপেন করেন কেমন হয়? কারণ বাঁহাতি স্পিনারটা ওদের মূল অস্ত্র ছিল।’