১৭ দিন ধরে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে, ব্যস্ততম এ স্থলবন্দরে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
জানা গেছে, কাদামাটি ও আবর্জনাসহ পাথর আমদানি করার ফলে ট্রাক প্রতি অন্তত ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এতে বিনিয়োগকারী ও সরকারের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।
ফলে কাদামাটি ও আবর্জনাসহ পাথর আমদানির ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে গিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এর ফলে তারা পাথর ও কয়লা আমদানি থেকে বিরত রয়েছেন।তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানিকারক মেসার্স মিসবাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিসবাহউল আম্বিয়া বলেন, ‘আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা স্থলবন্দরের ওজন জটিলতায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ অবস্থায় আমাদের ব্যবসা দূরে থাক, বাড়ি থেকে টাকা এনে লোকসান পূরণ করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি।’
মেসার্স রেজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইলিয়াস উদ্দিন লিপু বলেন, ‘ওজন জটিলতায় আমরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পাথর আমদানি করেও আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। ওপারে (ভারতে) পাথর কয়লাবাহী শত শত ট্রাক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। রফতানিকারকরা আমাদের কাছে এসব পণ্যবাহী ট্রাকের ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
এ বিষয়ে তামাবিল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তানভির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রাখায় এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও এখানকার মূল পণ্য পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। শুনেছি, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। আমরা তাদের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সমাধান করবে।’