ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়সাওয়াল বলেছেন, হোলি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও নানা বর্ণের, নানা সমাজের মানুষ এতে মিলিত হন। ভারতে এ উৎসব বড় পরিসরে আয়োজিত হয়ে থাকে। হোলির উৎসবের এ সময়ে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। হোলির রঙের মতো মানুষের জীবনেও যেন নানা রঙের ছটা পড়ে। হোলি যে ধারণা নিয়ে আমরা উদযাপন করি, সেটি যেন সবার পূর্ণ হয়।
বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর মণিপুরি রাজবাড়ি এলাকার শ্রী শ্রী মহাপ্রভু মণ্ডপে সিলেটে একাডেমি ফর মণিপুরি কালচার অ্যান্ড আর্টসের (এমকা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হোলি উৎসবের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এমকা’র সভাপতি দিগেন সিংহের সভাপতিত্বে ও পূরবী রায়ের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন এমকা’র সাধারণ সম্পাদক নৃত্য পরিচালক সান্তনা দেবী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উদীচী সিলেটের সাবেক সভাপতি ও মণিপুরি সহিত্য সংসদের সভাপতি এ কে শেরাম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অপূর্ব শর্মা, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নাট্য ব্যক্তিত্ব উত্তম সিংহ রতন, সমরেন্দ্র সিংহ ও রিমা দেব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মণিপুরি নৃত্য এখন শুধু মণিপুরি সম্প্রদায়ের নয়, বাঙালি জাতি ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। বাঙালির জাতীয় সংস্কৃতিতে যোগ হয়েছে মণিপুরি নৃত্য। মণিপুরি নৃত্য দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বে সুনাম কুড়াচ্ছে। যা বাঙালি জাতির জন্য গৌরব ও অহংকারের। বাঙালি জাতি গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে মণিপুরি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এমকা’র শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।