হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ব্রিটেনের গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

হার্ট অ্যাটাক মানেই মৃত্যু এমন ধারণা অনেকদিনের। এমনকি হার্ট অ্যাটাক মানেই ভীষণ চিন্তার একটা বিষয় ছিল এতদিন।

অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ সময় টুকু পাওয়া যেত না। রোগীর চিকিৎসার তার আগেই জীবন শেষ হয়ে যেত অনেক রোগীরই। কিন্তু এবার সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মিলতে চলেছে মুক্তি। কারণ, হার্ট অ্যাটাক রোধে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগান্তকারী আবিষ্কার।

ব্রিটেনের চিকিৎসক গবেষকরা এমন এক বায়োডিগ্রেডেবল জেল আবিষ্কার করেছেন যা কিনা অ্যাটাকের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হার্টকে এবং হার্টের ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম এবং সেই রোগীকে পরবর্তীতে সুস্থ জীবন দান করতেও সক্ষম।

চিকিৎসাবিজ্ঞান জানাচ্ছে যে এটা আমাদের অনেকেরই অজানা হার্ট অ্যাটাকের পরে হৃৎপিন্ড যথাযথ ভাবে সেরে ওঠে না আর এই কারণে একাধিক হার্ট অ্যাটাক বা ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের ফলে অনেক রোগী জীবন সংশয়ে ভোগেন। তবে এবার হয়তো বদলাবে এই পরিস্থিতি এই নিয়ে আশাবাদী চিকিৎসকরা।

আগে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কোষকে ইঞ্জেক্ট করা হত কিন্তু এর পরেও মাত্র এক শতাংশ মানুষ বেঁচে থাকতেন কিন্তু সদ্য আবিষ্কৃত এই মলম চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় রীতিমতো হৃৎপিন্ডে গ্রাফট করে যায় বা আটকে থাকে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা আবিষ্কৃত এই মলমটি এমনভাবে কাজ করে যার ফলে সহজেই নতুন টিস্যু তৈরি হয় এবং তার বৃদ্ধি যথাযথভাবে হয়।

কীভাবে এই মলম সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন গবেষকরা? জানা যাচ্ছে ইঁদুরের উপর ইসিজি এবং আল্ট্রাসাউন্ড করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে এই ওষুধ সম্পর্কে। গবেষকরা একটি ইঁদুরের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পরে এবং সেটি বাঁচার পরে তার ওপরেই মলমটি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেন এবং তারা দেখতে চেয়েছিলেন কীভাবে নতুন পেশী টিস্যু তৈরি করে এই মলম, তা দেখতে এবং তারা হাতেনাতে ফলও পেয়েছিলেন।

গবেষক প্রফেসর জেমস লেপিয়ার জানিয়েছেন যে, এই মলম নিয়ে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। যদি পরবর্তীকালে দেখা যায় রোগীর শরীরে কাজ দিচ্ছে এই মলম তাহলে হার্ট অ্যাটাক এবং তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে চিকিৎসকদের।