হাওরে ধানের বাম্পার ফলনের পথে শঙ্কার নাম শিলাবৃষ্টি

মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে আগাম বর্ষণ। গত ৮ দিন যাবত চলছে বৃষ্টি। দফায় দফায় এই বর্ষণের সঙ্গে আছে ঝড় তুফান ও শিলাবৃষ্টি। চৈত্র মাসের এমন আগাম বৃষ্টিপাত গত ৮-১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম। যদিও তা ঘরবাড়ি ও ফসলের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর কিন্তু কৃষকদের মতে বোরো ধানের জন্য এই বৃষ্টি অনেক কল্যাণ বয়ে এনেছে। বিশেষ করে হাকালুকি হাইলহাওর কাউয়াদিঘীসহ হাওরাঞ্চলে এই বৃষ্টিপাতের কারণে বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় বোরো চাষিরা।

আবার এমন দফায় দফায় আগাম ঝড় শিলা ও ভারী বৃষ্টিপাত কৃষকদের দুশ্চিন্তারও কারণ। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে এমন লাগাতার বৃষ্টিপাত হলে এশিয়ার বৃহত্তর হাকালুকি হাওরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। তখন অন্তত ২০ হাজার একর জমির আধপাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার হাকালুকি হাইলহাওর কাউয়াদিঘীসহ ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ৬০ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। এর বেশিরভাগ হাওরাঞ্চলে এসব ধানের ফুল এসে গেছে। ফসল ঘরে তুলতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে।

হাকালুকি হাওর লাগুয়া কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসহাক চৌধুরী ইমরান স্থানীয় কৃষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হাকালুকি হাওরে এ বছর বোরো ধানের স্মরণকালের বাম্পার ফলনের আশা আছে। তবে সমস্যা শিলাবৃষ্টি। রবিবার শিলাবৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে হাওর তলিয়ে ফসল নষ্ট হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলার উপ-পরিচালক মো. শামসুদ্দিন আহমেদ কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানান, গত রোববার বিকেলের শিলাবৃষ্টিতে কোথাও কোথাও ফসলের কিছু ক্ষতি হলেও আগাম বৃষ্টিপাত বোরো ধানের জন্য অনেক উপকারী হয়েছে। আমরা বাম্পার ফলনের আশা করছি।