সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হাওর রক্ষা বাধঁ পরির্শনকালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, দেশের বেশিরভাগ খাদ্য উৎপাদন হয় সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলে, তাই সরকার দৃঢ়তার সাথে ফসল রক্ষায় হাওড়ে বাঁধের কাজ করছে। এই এলাকায় আমরা টেকসই বাঁধ দিতে চাই। প্রতিমন্ত্রী বলেন,নদী খননের মাধ্যমে হাওরের টেকসই সমাধান করা হবে ।
সেই লক্ষ্যে আমাদের সরকার দ্রুত কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কালনীসহ ১৯টি নদী খনন করতে পারলেই স্থায়ী সমাধান আসবে, ভবিষ্যতে আমাদের পি আইসি থাকবে না।
আমরা নদী খনন করবো, নদী খনন করে সেখানকার মাটি দিয়ে বাঁধগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। আমরা নদী খননে সমীক্ষা চালিয়েছি, তা শেষ পর্যায়ে, আগামী ১০ তারিখে তা শেষ হলে প্লানিং মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পাশে কতগুলো ভিলেজ প্লাটফর্ম থাকবে, কৃষকরা সেখানে ধান উঠাবে এবং ধান শুকানোর ব্যবস্থা থাকবে।
বুধবার (১৫মার্চ) সকালে বরাম হাওরের তুফানখালি বাঁধ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
“টেকসই বাঁধ, নদী খনন সবকিছু প্রকল্প আমাদের হাতে আছে। আমাদের বুঝতে হবে পুরো বিশ্ব আজ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে, সেখান থেকে বাংলাদেশও রেহাই পায় নাই। কিন্তু তারপরও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনো প্রকল্প পাশ হচ্ছে।আমরা কাজ করছি, বাংলাদেশের উন্নয়ন চলমান আছে।
বাঁধের কাজ ও বরাদ্দের টাকা দিতে বিলম্ব হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা কথা, বিশাল হাওর এলাকা, বাঁধকে টেকসই করতে অনেক পর্যবেক্ষন করতে হয়, তাই একটু সময় লাগে। সাংবাদিকরা কিছু সত্য ও কিছু বাড়িয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
এরপর প্রতিমন্ত্রী বরাম হাওড়ের বোয়ালিয়া বাঁধ এবং চাপতির হাওড়ের বৈশাখী বাঁধ পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শামীমা শাহরিয়ার খানম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ( প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা , ইউ এনও মাহমুদুর রহমান মামুন, উপজেলা মাঠ প্রকৌশলী এটি এম মোনায়েম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।