হাওররক্ষা বাঁধ নিয়ে টেনশন নিতে চাই না : বিভাগীয় কমিশনার

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, হাওররক্ষা বাঁধ নিয়ে আমরা কোনো টেনশন নিতে চাই না। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। সময়মতো সঠিকভাবে কাজ করে চাপমুক্ত থাকতে চাই। কারণ হাওরের ফসলের সাথে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে দিরাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কৃষিতে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। কৃষির ওপর নজরদারি বড়াতে হবে। ফসলরক্ষার কাজগুলো যাতে সঠিকভাবে হয়, সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা, বন্যাহ সকল দুর্যোগ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নেতৃত্ব, দুরদর্শিতা এবং সঠিক পরিকল্পনায় উন্নয়নের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নে জনপ্রতিধিসহ সকলের সম্পৃক্ততায় স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সরকারের নানা উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, রেমিট্যান্স, কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে হাওর এলাকা। তাই শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে উড়াল সেতুসহ সড়ক উন্নয়নে বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মুহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জনি রায়, পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা ও মোহন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশিদ লাভলু, শৈলেন চন্দ্র দাস, একরার হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশিদ লাভলু জগদল ইউনিয়নে জনৈক জিল্লুর রহমান কর্তৃক সরকারি জায়গা দখল করে মাটি ভরাটের বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনারের সামনে তুলে ধরলে বিভাগীয় কমিশনার তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেন।