হাইভোল্টেজ ম্যাচে রিয়াল-ম্যানসিটির কেউ জেতেনি

সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটি প্রমাণ করলো, তারা কেন বিশ্বসেরা। বিশ্বের সেরা দুটি ক্লাবের নাম বলতে বলা হলে এই দুটির নামই এক এবং দুই নম্বরে উঠে আসবে। মঙ্গলবার রাতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হলো বার্নাব্যুতে। দুই পক্ষই গোল দিয়েছে ৩টি করে। ৬ গোলের ম্যাচে কেউ জিততে পারলো না। ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের মহারণে কেউ এগিয়ে থাকলো না, কেউ পিছিয়েও থাকলো না। সমানভাবেই শেষ হলো। ফিরতি লেগে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে যেই জিতবে, সেমিফাইনালে চলে যাবে তারাই।

আগের দুই মৌসুমে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দল। প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছিলো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও জিতেছিলো তারা। পরেরবার প্রতিশোধ নিয়ে জিতেছিলো ম্যানসিটি এবং শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো সিটিই। এবার কোয়ার্টারে যে জিতে সেমিতে উঠবে, তাদের ভাগ্যেও কি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি শোভা পাবে? সময়ই দেবে সে উত্তর।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই ঘরের মাঠে সমর্থকদের স্তব্ধ করে গিয়ে গোল হজম করে বসে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় মিনিটে সিটির হয়ে গোলটি করেন বার্নার্ডো সিলভা। গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেন কার্লো আনচেলত্তি। যার ফলশ্রুতিতে ১২তম মিনিটে রিয়ালের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ম্যানসিটির রুবেন ডিয়াজ। আত্মঘাতি গোলে ১-১ সমতায় আসে লজ ব্লাঙ্কোজরা।

২ মিনিট পরই লিড নিয়ে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। এবার রিয়ালের হয়ে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ ।

দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে নব উদ্যমে শুরু করে ম্যানসিটি। যার ফলশ্রুতিতে ৬৬তম মিনিটে দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন ম্যানসিটির ফিল ফোডেন। ৭১তম মিনিটে আবারও লিড নিয়ে নেয় সফরকারী ম্যানসিটি। এবার গোল করেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা জসকো জিভার্ডিওল। ৭৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। এবার গোল করেন ফেডে ভালভার্দে।