আজ (রোববার) বেলা আড়াইটায় চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই শিরোপাপ্রত্যাশী ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। নিশ্চিতভাবেই গ্রুপ পর্বের প্রথম রাউন্ডের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগের ১২ আসরের মধ্যে ৭ বারই শিরোপা উল্লাস করেছে এই দুই দল। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৫ বার, ভারত ২ বার। বর্তমানে আইসিসি র্যাংকিংয়ে ভারত এক নম্বরে। অস্ট্রেলিয়া আছে ৩ নম্বরে। এমন দুই দলের বিশ্বকাপ লড়াইয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ঝরারই আভাস। অস্ত্রশস্ত্রেও দুই দলই সজ্জিত।
শিরোপার অন্যতম টপ ফেবারিট হিসেবে দুই দলের দুর্বলতার জায়গাটা কমই। শক্তির জায়গাটাই মজবুত। তারপরও এটুকু অন্তত বলা যায়, ব্যাটিং শক্তিতে এগিয়ে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে বোলিং শক্তিতে। ভারত বরাবরই ব্যাটিং শক্তি নির্ভর দল। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, শুবমন গিল, বিরাট কোহলি, ইষান কিষাণ, লুকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, সূর্য কুমার যাদবদের সমন্বয়ে গড়া ভারতের এবারের ব্যাটিং লাইনআপ নিশ্চিতভঅবেই বর্তমান বিশ্বের সেরা। এদের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজাও দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে জানেন। কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দলকে এনে দিতে পারেন জয়।
বিপরীতে ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাক্সেস ক্যারি, ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে, জশ ইংলিসদের সমন্বয়ে গড়া অসিদের ব্যাটিং লাইনআপও দুর্দান্তই। এদের সঙ্গে ব্যাট হাতে আছেন ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে দেওয়ার কারিগর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আছেন ক্যামেরন গ্রিন, মিচেল মার্শ, শন অ্যাবট, মার্কাস স্তোইনিসরাও ব্যাট হাতে ভরসার জায়গা। তারপরও তুলনামূলক বিচারে ব্যাটিংয়ে ভারতই এক ধাপ এগিয়ে। ভারত এগিয়ে স্পিন বোলিংয়েও। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুলদ্বীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিন—তিন জনই স্পিনের পরীক্ষিত সৈনিক। দলের প্রয়োজনে বল ঘুরাতে পারেন সূর্য কুমার যাদবও। এদের তুলনায় অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাস্টন অগারের সঙ্গে গ্লেন ম্যাক্সওয়েনের সমন্বয়ে অসিদের স্পিন আক্রমণকে পিছিয়ে রাখতেই হবে। তবে পেস বোলিং আক্রমণে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে।
যদিও ভারত এখন আর পেস বোলিংয়ে দুর্বল নয়। বরং জসপ্রিত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ সামি, শার্দুল ঠাকুরের সমন্বয়ে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণও দারুণ। তবে তুলনামূলক বিচারে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখতেই হবে। দুই বিশ্বকাপেই ৪৯ উইকেট নেওয়া মিচেল স্টার্ক, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড-তিন ভয়ংকর ফাস্ট বোলারের সঙ্গে মার্কাস স্তোইনিস, শন অ্যাবট। এদের পাশাপাশি শন মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিনও মিডিয়াম পেসে দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেন। আজ কোন দল কীভাবে একাদশ সাজাবে, তার উপরই নির্ভর করবে শক্তিমত্তার তারতম্য।
অস্ট্রেলিয়া আরো একটা জায়গায় এগিয়ে-বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতায় এবং মুখোমুখি সাক্ষাতে। ১২ আসরের মধ্যে ৫ বারই শিরোপা জয়ী অস্ট্রেলিয়া বিম্বকাপে মোট ৯৪ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৬৯টিতে। বিপরীতে ২ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত ৮৪ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৫৩টিতে। দুই দলের মুখোমুখি ১২ সাক্ষাতের মধ্যে ৮ বারই জয়ী অস্ট্রেলিয়া, ভারত জয়ী ৪ বার। আজ জয় হাসি হাসবে কে?
সিলেট ভয়েস/এএইচএম