“হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। দেশব্যাপি উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে এই সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত “হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় সিলেট মহানগরীতে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রাপ্তি এক্ষেত্রে কার্যকরী এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। উল্লেখ্য, সিলেট জেলায় শুরু হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেয়ার কর্মসূচি সারাদেশে সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নার থেকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের একমাসের ওষুধ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীদের দুই থেকে তিন মাসের ওষুধ একবারে দেয়ার জন্য প্রেসক্রিপশন করা হলে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধের প্রাপ্র্যতা নিশ্চিত করা গেলে স্বল্প ব্যয়ে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের এবং প্রজ্ঞা’র উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।