দেশে জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করছেন এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, ‘এ সরকার লুটপাটের সরকার, ভোট ডাকাতের সরকার। তারা আজ দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে লুটেরাদের সুবিধার জন্য। যে কারণে সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই আপনারা (জনগণ) আমাদের হরতাল পালন করুন।’
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘হরতাল বাধাগ্রস্ত করতে সরকার গতকাল (বুধবার) রাতে আমাদের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলসহ চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতাল চলছে ঢিলেঢালাভাবে। যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। অন্যান্য দিনের মতো ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলেছেন এবং অফিস খোলা থাকায় মানুষ বিনা বাধায় অফিসে যাচ্ছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, জিরো পয়েন্ট ও প্রেসক্লাব এলাকায় যানবাহন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। তবে হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা গেছে এসব এলাকায়।
এক ব্যক্তি বলেন, ‘হরতাল হলেও তো আমাদের অফিস বন্ধ নেই। তাই আমাদের অফিস করতে হবে। যেহেতু তারা জনগণের দাবি আদায়ে হরতাল করছে, তাই এ হরতালকে সমর্থন করা যায়।’
এদিকে হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল করার সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল রয়েছেন।