হবিগঞ্জে মুয়াজ্জিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

উচ্চশব্দে গান-বাজনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মুয়াজ্জিন ইরফান আলী হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২ মে) সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের কাছে ৭ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ছাত্র আনজুমানে আল বাইয়্যিনাতের হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ মুবারক হোসাইন, মাধবপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ সাদমান জহির, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা তৈয়বুর রহমান মুজাহীদি, হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আল্লামা মুফতি আব্দুল মজিদ পিরোজপুরী, আল্লামা আব্দুল্লাহ আল মুতাকাব্বির তামিম, আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ হানিফ মিয়া, আল্লামা জাকির হোসাইন, ক্বারী এম এ জলিল প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, মুয়াজ্জিন ইরফান আলীর সকল খুনিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এক মাসের মধ্যে মামলার চার্জশিট দিতে হবে, দ্রুত বিচার আইনে ৩ মাসের মধ্যে খুনের বিচারকার্য শেষ করতে হবে এবং প্রত্যেক খুনির ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মুয়াজ্জিন ইরফান আলীর মৃত্যু হওয়ায় তার পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সাথে ইরফান আলীর সন্তানদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

উল্লেখ, গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৬ নম্বর শাহাজাহানপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্সে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে মসজিদের মুয়াজ্জিন ইরফান আলী (৫৮) গুরুতর আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাধবপুর থানার পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মো. আনোয়ার আলীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।