হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আইলাবই গ্রামের শিশু লিজা আক্তারকে হত্যার দীর্ঘ ১১ মাস চেষ্টার পর ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একইসাথে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি তাকবির হাসান (২০)।
স্বীকারোক্তিতে তাকবির জানান, প্রেমিকার সঙ্গে তাকে দেখে ফেলায় শিশুটিকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমু সরকারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তাকবির হাসান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাকবিরের সঙ্গে একই গ্রামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চলাকালীন একদিন সন্ধ্যায় তারা দেখা করতে গেলে নিহত শিশু লিজা আক্তার (৯) তাদের দেখে ফেলে। সে ঘটনাটি তার মাকে জানিয়ে দেয়। এরপর থেকে মেয়েটির সঙ্গে তাকবিরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ২১ জুলাই শিশু লিজাকে গলা টিপে হত্যা করেন তাকবির। পরে তার মরদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। মরদেহ উদ্ধারের পর লিজার বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত শিশু লিজা আক্তারের বাড়ি মাধবপুর উপজেলার আইলাবই গ্রামে। আসামি তাকবির ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শিশু লিজা আক্তার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য পাঁচ মাস পর শনিবার (২৩ জুলাই) প্রধান আসামি তাকবির হাসানকে খুলনার খালিসপুর থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তিনি ঘটনার পর খুলনায় পালিয়ে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে কাজ নেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। সোমবার দুপুরে পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।