হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ২০২১ সালে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কলেজছাত্র তানভীর হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের মো. উজ্জ্বল মিয়া, নুরপুর গ্রামের মো. জাহিদ মিয়া ও রোমান মোহাম্মদ শান্ত।
আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।
তিনি জানান, মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং তাদের তিনজনের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার আরেক আসামী মো. লিমন মিয়াকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামীদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামী উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল।
ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামী শান্ত।
পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন।
ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।