হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মো. ফয়েজ আহমদ নামের এক ব্যবসায়ী যুবক অপহরণের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় চরম হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন।
রোববার (১৪ মে) নিখোঁজ মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেন আদালতে হাজির হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।
জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে জিয়াপুর নতুন বাজার এলাকার হাসান হোসাইন ভ্যারাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. ফয়েজ আহমদ (২৩) কে সাথে নিয়ে তার বন্ধু বাদে রায়ঘর গ্রামের আতা মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৮) নিজ বাড়ী থেকে বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি বাজারে তার বোনের বাড়ী বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। এরপর থেকেই ফয়েজ আহমেদ নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের পর থেকেই তার বন্ধু জাকির আত্বগোপন করে। সে মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলে আবার ফোন বন্ধ করে দিতো।
এদিকে অপহৃত ব্যবসায়ী ফয়েজের মা খাদেজা বেগম তার ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ২৪ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-৫ আদালতে ফয়েজের বন্ধু জাকির হোসেনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে গং ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও কোনো আসামিকে পুলিশ ধরতে পারেনি। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশও মামলার আসামিদের ধরতে ব্যর্থ হয়।
অপরদিকে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর মামলার ২নং আসামি বানিয়াচং থানার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মজর উল্লার পুত্র সামছুল হক (৩২) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজিরা দিলে তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত। দীর্ঘ দেড় মাস জেল হাজতে থাকার পরে সে বিজ্ঞ আদালত হতে অস্থায়ী জামিনে মুক্তি পায়। এরপর ফয়েজ আহমেদ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি ফয়েজের বন্ধু জাকির হোসেন ৭ মাস পর রোববার স্বেচ্ছায় হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।